বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৯-০৫-২০২৫ ০৬:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-০৫-২০২৫ ০৬:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
বাড়তি উর্পাজনের জন্য বাগানে গাছের ফাঁকে সারা বছরই বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ আলী ও তাঁর ছেলে তুহিন। বাড়ির পাশের জমিতে আম, কাঠাল, লিচু, পেপে ও উন্নতজাতের বরইসহ নানা ফলফলাদির গাছ লাগিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবার তিনি এক হাজার বস্তায় আদা চাষ শুরু করেন। গতবার অল্প পরিমাণে বস্তায় আদা চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। তাই এ বছর বস্তায় আদা চাষ বাড়িয়েছেন। তাঁর সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে বস্তায় আদা চাষে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাঁচটি এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে বস্তা। তাতে চাষ হচ্ছে আদা। ইতোমধ্যে আদার কন্দ হতে অঙ্কুর বের হয়ে বড় হয়েছে। ফলন আসতে তিন মাস সময় লাগবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, বছরে দেশে আদার চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। ঘাটতি পূরণে ব্যাপকভাবে আদা চাষের কোনো বিকল্প নেই।
উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের শষী মার্কেট এলাকায় বস্তায় আদার চাষ করেছে মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, ইউটিউবে দেখে বস্তায় আদা চাষ করতে অনুপ্রাণিত হন। প্রথমে বস্তায় পরিমাণ মতো জৈব ও রাসায়নিক সার, বেলে- দোআঁশ মাটি ও ছাই দিতে হয়। একেকটি বস্তায় ২০ থেকে ২৫ কেজি মাটি দিতে হয়। পরে বীজ আদা রোপণ করতে হয়। একেকটি বস্তায় তিনটি চারা রোপণ করা উত্তম। আদা চাষে বেশি পরিচর্যা করা লাগে না। এছাড়া বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আগাছা জন্মায় কম। পুকুরপাড় বা অন্য গাছের মাঝে আদা চাষ করা যায়। এবার ভাল ফলন হলে সামনের বছর বস্তার পরিমাণ বাড়াবেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ১৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করার টার্গেট রয়েছে। আদার কন্দ পচা রোগ আদা চাষে মারাত্মক সমস্যা। তাই বস্তায় আদা চাষ করলে এ রোগ ছড়াতে পারে না। এছাড়া অল্প জায়গায় চাষ করা যায়। আম, কাঁঠাল, মাল্টা, পেঁপেঁ, লিচুসহ অন্যান্য ফলবাগানের মধ্যেও আদা চাষ করা যায়। ছাঁয়াযুক্ত স্থানে আদা চাষ ভালো হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনায় আদার আবাদ করলে প্রতি বস্তায় এক থেকে সর্বোচ্চ তিন কেজি ফলন পাওয়া যায়ব। কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ ও পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করা হচ্ছে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স